শুক্রবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন
শাহাব উদ্দীন সিকদার মহেশখালী:
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পানির ছড়া এলাকার বারইতইল্ল্যা ঘোনার গহীন পাহাড়ের ভিতর মহেশখালী থানা পুলিশের এ অভিযান পরিচালিত হয়।
আজ ২৪ শে জানুয়ারী বিকাল ৫ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহেশখালী থানা পুলিশের একটি চৌকস পুলিশ টিম অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় অস্ত্র তৈরির কারখানা এবং মাদক তৈরির কারখানার সন্ধান পায়। পুলিশের চৌকস টিম অস্ত্রের কারখানায় পৌঁছানোর পর দেখতে পায় সেখানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরীর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এবং বিভিন্ন উপাদান মজুদ রয়েছে। তার মধ্যে লেদ মেশিন, দেশীয় তৈরীর অস্ত্রের স্প্রিং, কার্তুজের পিলেট, অস্ত্র তৈরীর লোহার পাইপ, লোহা কাটার বিভিন্ন যন্ত্র অস্ত্রের কাঠের বাট, বিভিন্ন ধরনের কার্তুজ, কার্তুদের খোসা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। পাহাড়ের গহীন ভিতরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত কারখানার সাথেজড়িত আসামিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সেইসাথে উক্ত কারখানার একটু অদূরেই একই মালিকানাধীন একটি দেশীয় মদের কারখানার সন্ধড পায় পুলিশ। উক্ত কারখানা থেকে পূর্বে প্রস্তুতকৃত প্রায় ৮০ লিটার চোলাই মদ জব্দ করা হয়।
পাহাড়ের আশে পাশের পানের বরজে কর্মরত লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় উক্ত অস্ত্র এবং মাদক কারখানার সাথে স্থানীয় ১। রবিউল হোসেন প্রঃ রবি (৩৫)
২। মনির (৩০) ঢ়৩।মানিক ( ৩৫) পিতা অজ্ঞাত তারা জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছেে। পলাতক আসামিরা বহুদিন ধরে উক্ত জায়গায় অস্ত্র এবং মাদক কারখানার মাধ্যমে দেশীয় অস্ত্র এবং চোলাই মদ চাহিদা মত দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে আসছিল জানা গেছে।
উল্লেখ্য মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রনপ কুমার চৌধুরীর নেতৃত্বে সম্রতি বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালিত হয় এবং সাথে অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হয়।
এই অভিযানের ব্যাপারে জানতে চাইলে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) প্রনব কুমার চৌধুরি জানান চলমান অপারেশনের অংশ হিসাবে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
এই ব্যাপারে পৃথকভাবে অস্ত্র এবং মাদক আইনে মামলা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এই অভিযান বিরতিহীন ভাবে অব্যাহত থাকবে।
ভয়েস/ জেইউ।